ব্যভিচার সম্বন্ধে সতর্কবাণী
1 ছেলে আমার, আমি যে জ্ঞানের কথা বলছি তা ভাল করে শোন;
আমার বিচারবুদ্ধির কথায় কান দাও।
2 তাতে তুমি ভাল-মন্দ বুঝবার শক্তি রক্ষা করতে পারবে,
আর তোমার মুখ থেকে জ্ঞানের কথা বের হবে।
3 ব্যভিচারিণীর ঠোঁট থেকে যেন মধু ঝরে পড়ে,
তার কথাবার্তা তেলের চেয়েও মোলায়েম;
4 কিন্তু তার শেষ ফল হয় বিষের মত তেতো,
দু’দিকে ধার দেওয়া ছোরার মত ধারালো।
5 তার পথ মৃত্যুর কাছে নেমে গেছে,
তা সোজা চলে গেছে মৃতস্থানের দিকে।
6 জীবনের দিকে যাবার পথের কথা সে চিন্তাও করে না;
তার চলবার পথ বাঁকা, কিন্তু সে তা জানে না।
7 ছেলেরা আমার, এবার আমার কথা শোন,
আমি যা বলি তা থেকে সরে যেয়ো না।
8 সেই স্ত্রীলোকের কাছ থেকে তোমার পা দূরে রাখ,
তার ঘরের দরজার কাছেও যেয়ো না;
9 যদি যাও তাহলে তোমার যৌবনের শক্তি অন্যদের দিয়ে দেবে
আর তোমার আয়ু দিয়ে দেবে নিষ্ঠুরদের।
10 তাতে অজানা লোকেরা তোমার ধন-সম্পদ ভোগ করবে,
আর তোমার পরিশ্রমের ফল চলে যাবে অন্য লোকের বাড়ীতে।
11 জীবনের শেষ সময়ে যখন তোমার দেহ ও মাংস ধ্বংস হবে
তখন তুমি কাত্রাতে থাকবে।
12 তুমি বলবে, “হায়! আমি শাসন ঘৃণা করেছি,
আমার অন্তর সংশোধনের কথা তুচ্ছ করেছে।
13 আমার শিক্ষকদের কথা আমি শুনি নি,
যাঁরা আমাকে শিক্ষা দিয়েছেন তাঁদের কথায় কান দিই নি।
14 সমাজের লোকদের হাতে পড়ে
আমি প্রায় মরেই যাচ্ছিলাম।”
নিজের স্ত্রীতে আনন্দ
15 তোমার নিজের জমা করা জল থেকেই তুমি জল খাও;
তোমার নিজের কূয়ার টাটকা জল খাও।
16 তোমার নিজের ফোয়ারার জল কেন বাইরে উপ্চে পড়বে?
তোমার স্রোতের জল কেন গিয়ে পড়বে রাস্তায় রাস্তায়?
17 তোমার সন্তানেরা তোমার একারই থাকুক,
ব্যভিচারিণীদের তাতে ভাগ না থাকুক,
18 তোমার ফোয়ারায় আশীর্বাদ থাকুক,
তোমার যৌবনের স্ত্রীকে নিয়েই তুমি আনন্দ কর।
19 সে ভালবাসাপূর্ণ হরিণী, সৌন্দর্য-ভরা হরিণী;
তারই বুক তোমাকে সব সময় সন্তুষ্ট রাখুক,
তুমি সব সময় তার ভালবাসায় মেতে থেকো।
20 ছেলে আমার, কেন তুমি ব্যভিচারিণীকে নিয়ে মজে থাকবে?
তার বুক কেন তুমি জড়িয়ে ধরবে?
21 মানুষের চলাফেরার উপর সদাপ্রভুই চোখ রেখেছেন;
তাদের সমস্ত পথ তিনিই যাচাই করে দেখেন।
22 দুষ্ট লোক তার মন্দ কাজের ফাঁদে পড়ে,
সে নিজের পাপের দড়িতে কষে বাঁধা পড়ে।
23 শাসনের অভাবে সে মারা পড়ে;
নিজের ভীষণ বোকামির দরুন সে তার পথে স্থির থাকে না।