1 যে লোক নিজেকে সমাজ থেকে আলাদা করে রাখে
সে নিজের ইচ্ছা পূরণ করতে চেষ্টা করে,
আর সে সমস্ত বুদ্ধিপূর্ণ পরিকল্পনার বিরুদ্ধে দাঁড়ায়।
2 বিবেচনাহীন লোক ভাল-মন্দ বুঝবার ব্যাপারে
কোন আনন্দ পায় না,
কিন্তু নিজের মতামত প্রকাশেই আনন্দ পায়।
3 দুষ্টতা ডেকে আনে ঘৃণা
আর অসম্মান ডেকে আনে নিন্দা।
4 মানুষের মুখের কথা যেন মাটির গভীরে থাকা জল,
কিন্তু জ্ঞানী লোকের মুখের কথা
যেন ফোয়ারা থেকে বেরিয়ে আসা স্রোতের জল।
5 দোষী লোকের পক্ষ নেওয়া ঠিক নয়,
তাতে নির্দোষীর প্রতি অবিচার করা হয়।
6 বিবেচনাহীনের কথার দরুন মকদ্দমা হয়,
আর তার কথার জন্য তাকে মার খেতে হয়।
7 বিবেচনাহীনের মুখই তার সর্বনাশের কারণ;
তার কথার দরুন তার জীবন ফাঁদে পড়ে।
8 নিন্দার কথা স্বাদযুক্ত খাবারের মত,
মানুষের অন্তরের গভীরে তা নেমে যায়।
9 যে নিজের কাজে অলসতা করে সে ধ্বংসকারীর ভাই।
10 সদাপ্রভুই শক্ত দুর্গের মত;
ঈশ্বরভক্ত লোক সেখানে দৌড়ে গিয়ে রক্ষা পায়।
11 ধনীদের ধনই তাদের দেয়াল-ঘেরা শহর;
তাদের ধনকেই তারা মনে করে রক্ষাকারী দেয়াল।
12 মানুষের অন্তরের গর্ব ধ্বংস আনে,
কিন্তু নম্রতা সম্মান আনে।
13 শুনবার আগেই যে লোক উত্তর দেয়
তার পক্ষে তা বোকামি ও লজ্জার বিষয়।
14 দুর্বলতার সময় মনের বলই মানুষকে ধরে রাখে,
কিন্তু ভাংগা মন কে সহ্য করতে পারে?
15 যার মনে বিচারবুদ্ধি আছে সে জ্ঞান লাভ করে,
আর জ্ঞানীদের কান জ্ঞানের খোঁজ করে।
16 উপহার মানুষের জন্য পথ করে দেয়
আর বড়লোকদের সামনে তাকে উপস্থিত করে।
17 মকদ্দমার সময়ে যে প্রথমে নিজের পক্ষে কথা বলে
তার কথা সত্যি মনে হয়,
যতক্ষণ না আর একজন এসে তাকে জেরা করে।
18 গুলিবাঁট করে ঝগড়া বন্ধ করা হয়
আর দুই বলবান পক্ষের মধ্যে মীমাংসা করা হয়।
19 ভাইয়ের দ্বারা অপমানিত হওয়া ভাই
শক্তিশালী শহরের চেয়েও শক্ত;
আর ঝগড়া-বিবাদ রাজবাড়ীর ফটকের শক্ত হুড়কার মত।
20 মানুষ তার কথার দ্বারা যে ফল লাভ করে
তাতে তার অন্তর ভরে যায়;
তার কথার ফলে সে যা পায় তা তাকে তৃপ্ত রাখে।
21 মুখের কথার উপর নির্ভর করে জীবন ও মৃত্যু;
যারা উপযুক্ত কথা বলতে ভালবাসে তারা তার ফল লাভ করবে।
22 যে লোক স্ত্রী পায় সে আশীর্বাদ পায়
আর সদাপ্রভুর কাছ থেকে দয়া পায়।
23 গরীব লোক দয়া পাবার জন্য কাকুতি-মিনতি করে,
কিন্তু ধনী অপমানে ভরা কড়া জবাব দেয়।
24 যার অনেক বন্ধু তার বেশী সর্বনাশ হতে পারে,
কিন্তু এমন বন্ধু আছে যে ভাইয়ের চেয়েও বেশী বিশ্বস্ত।