1 হে সদাপ্রভু, অন্যায়ের শাস্তি দেবার অধিকারী ঈশ্বর,
হে অন্যায়ের শাস্তি দেবার অধিকারী ঈশ্বর,
তোমার আলো প্রকাশিত হোক।
2 হে জগতের বিচারকর্তা, তুমি ওঠো;
অহংকারীদের যা পাওনা তা তুমি তাদের দাও।
3 আর কতকাল, হে সদাপ্রভু,
আর কতকাল দুষ্ট লোকেরা
আনন্দে মেতে থাকার সুযোগ পাবে?
4 তাদের মুখ থেকে কেবল দেমাক-ভরা কথার স্রোত
বের হয়ে আসে;
সেই অন্যায়কারীর দল বড়াই করে বেড়ায়।
5 হে সদাপ্রভু, তারা তোমার লোকদের দলে-পিষে মারছে;
যারা তোমার নিজের সম্পত্তি তাদের উপর তারা জুলুম করছে।
6 বিধবা আর বিদেশীদের তারা মেরে ফেলছে
আর অনাথদের খুন করছে।
7 তারা বলছে, “এদিকে সদাপ্রভুর চোখ নেই;
যাকোবের ঈশ্বর খেয়াল করেন না।”
8 অসাড় অন্তরের লোকেরা, তোমরা কান দাও;
ওহে বিবেচনাহীন লোকেরা, কবে তোমাদের সুবুদ্ধি হবে?
9 যিনি কান সৃষ্টি করেছেন তিনি কি শুনতে পান না?
যিনি চোখ গড়েছেন তাঁর কি দেখার শক্তি নেই?
10 যিনি সব জাতিকে শাসন করেন ও মানুষকে শিক্ষা দেন
তিনি কি শাস্তি না দিয়ে থাকবেন?
11 সদাপ্রভু মানুষের সব চিন্তা জানেন;
তিনি জানেন যে, সে সবই নিষ্ফল।
12 হে সদাপ্রভু, সেই লোক ধন্য যাকে তুমি শাসনে রাখ
আর তোমার আইন-কানুুন শিক্ষা দাও,
13 যাতে বিপদের দিনে সে সাহস পায়,
যে পর্যন্ত না দুষ্ট লোকদের জন্য গর্ত তৈরী শেষ হয়।
14 সদাপ্রভু কখনও তাঁর লোকদের ত্যাগ করবেন না;
যারা তাঁর নিজের সম্পত্তি তাদের তিনি ফেলে দেবেন না।
15 বিচারের রায় আবার ন্যায়পূর্ণ হয়ে উঠবে;
যাদের অন্তর খাঁটি তারা সবাই তা মেনে চলবে।
16 কে আমার পক্ষ হয়ে দুষ্টদের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে?
আমার পক্ষ হয়ে অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে কে দাঁড়াবে?
17 যদি সদাপ্রভু আমাকে সাহায্য না করতেন,
তবে মৃত্যুর নীরবতায় চলে যেতে আমার দেরি হত না।
18 যখনই আমি ভাবি আমার পা পিছ্লে যাচ্ছে,
তখনই হে সদাপ্রভু, তোমার অটল ভালবাসা
আমাকে ধরে রাখে।
19 আমার মনে যখন দুশ্চিন্তা বেড়ে যায়,
তখন তোমার দেওয়া সান্ত্বনা
আমার অন্তরকে আনন্দিত করে।
20 মন্দ শাসনকর্তারা মন্দ কাজের জন্য আইন তৈরী করে;
তোমার সংগে তাদের কি কোন সম্বন্ধ থাকতে পারে?
21 তারা সৎ লোকের বিরুদ্ধে দল পাকায়
আর নির্দোষকে মৃত্যুর শাস্তি দেবার জন্য দোষী বানায়।
22 কিন্তু সদাপ্রভুই আমার দুর্গ;
আমার ঈশ্বরই আমার আশ্রয়-পাহাড়।
23 তাদের অন্যায় তিনি তাদেরই মাথার উপর নিয়ে আসবেন,
তাদের দুষ্টতাতেই তিনি তাদের শেষ করে দেবেন;
আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুই তা করবেন।