গীতসংহিতা 65

গান পরিচালকের সংকলনের জন্য। একটা গান। দায়ূদের একটা গীত।

1 হে ঈশ্বর, সিয়োনে নীরবে তোমার প্রশংসা করা হয়;

আমাদের সব মানত তোমার উদ্দেশে পূরণ করা হবে।

2 হে প্রার্থনা গ্রাহ্যকারী, তোমার কাছেই সব মানুষ আসে।

3 আমার অন্যায় কাজে আমি তলিয়ে আছি,

কিন্তু তুমিই আমাদের সব পাপ ক্ষমা করে থাক।

4 ধন্য সেই লোক, যাকে তুমি বেছে নাও

আর নিয়ে আস নিজের কাছে,

যেন সে তোমারই উঠানে বাস করতে পারে।

তোমার ঘরের, তোমার পবিত্র বাসস্থানের আশীর্বাদে আমরা তৃপ্ত হব।

5 হে আমাদের উদ্ধারকর্তা ঈশ্বর,

তোমার ন্যায্যতায় ভক্তিপূর্ণ ভয় জাগানো কাজ দিয়ে

তুমি আমাদের ডাকে সাড়া দেবে।

পৃথিবীর সব মানুষ, এমন কি, সবচেয়ে দূরের জায়গার

আর দূরের সমুদ্র পারের মানুষও তোমার উপর নির্ভর করে।

6 তোমার শক্তিতেই সব পাহাড়-পর্বত দাঁড়িয়ে আছে;

এতে প্রকাশ পায় তুমি শক্তিশালী।

7 তুমিই সমুদ্রের গর্জন নীরব করে দাও,

নীরব করে দাও তার ঢেউয়ের গর্জন আর জাতিদের গোলমাল।

8 সব লোক, এমন কি, অনেক দূরের লোকেরাও

তোমার আশ্চর্য চিহ্ন-কাজ দেখে ভয় পায়;

সূর্য ওঠার দিক থেকে সূর্য ডোবার দিক পর্যন্ত

তুমিই আনন্দ-গানে সব জায়গা পূর্ণ করে থাক।

9 তুমিই পৃথিবীর মাটির উপর নজর রাখ

আর তাতে জল দিয়ে থাক;

তুমিই তার উর্বরতা অনেক বাড়িয়ে দাও;

তোমার কাছ থেকে বৃষ্টির ধারা নেমে আসে;

তুমি মানুষকে ফসল দিয়ে থাক।

এইভাবে তুমি মাটি তৈরী করে থাক-

10 চাষ-করা জমির খাঁজগুলো তুমি জল ভরে দাও

আর তার দু’ধার সমান কর;

ভারী বৃষ্টি দিয়ে মাটি নরম কর

আর তাতে নতুন গজানো চারাকে আশীর্বাদ কর।

11 তুমি বছরকে অনেক আশীর্বাদ দিয়ে মংগল করেছ;

তোমার চলার পথে প্রচুর আশীর্বাদ ঝরে পড়ে।

12 তা ঝরে পড়ে পশু চরাবার মাঠে মাঠে;

পাহাড়গুলোর গায়ে যেন আনন্দের পোশাক রয়েছে।

13 প্রত্যেকটা মাঠ ভেড়ার পালে ভরে আছে,

আর শস্যের পোশাকে যেন উপত্যকা ঢাকা পড়েছে;

সেগুলো আনন্দধ্বনি তুলছে আর গান গাইছে।