1 হে সদাপ্রভু, কেন তুমি দূরে দাঁড়িয়ে আছ?
দুর্দিনে কেন তুমি নিজেকে লুকিয়ে রাখ?
2 দুষ্ট লোক অহংকারের দরুন দুঃখীদের তাড়া করে,
কিন্তু নিজের কুমতলবে সে নিজেই ধরা পড়ে।
3 দুষ্ট লোক তার অন্তরের মন্দ ইচ্ছার গর্ব করে;
লোভী সদাপ্রভুকে অভিশাপ দেয় আর তাঁকে তুচ্ছ করে।
4 দুষ্ট লোক অহংকারের দরুন সদাপ্রভুকে অগ্রাহ্য করে;
তার কুমতলবের পিছনে এই চিন্তা রয়েছে-
ঈশ্বর বলে কেউ নেই।
5 সব সময় সে সফলতার পথে এগিয়ে যায়;
তার চোখ তোমার শাসন-ব্যবস্থার নাগাল পায় না,
কারণ তা অনেক উপরে;
তার সব শত্রুদের সে তুচ্ছ করে।
6 সে মনে মনে বলে,
“এমন কিছু নেই যা আমাকে নাড়াতে পারে;
আমার বিপদ কোন কালেই হবে না।”
7 তার মুখ অভিশাপ, ঠকামি আর অত্যাচারের কথায় ভরা;
তার জিভে রয়েছে অন্যায় আর মন্দতার কথা।
8 গ্রামের কাছে গোপনে সে ওৎ পেতে বসে থাকে;
গোপন জায়গাতে সে নির্দোষীকে খুন করে
আর অসহায়ের উপর গোপনে লক্ষ্য রাখে।
9 সে আড়ালে থেকে সিংহের মত করে ওৎ পাতে;
দুঃখীকে ধরবার জন্যই সে তা করে,
জালে ফেলে সে তাকে ধরে।
10 তারপর সে তাদের পিষে ফেলে;
সেই হতভাগারা পড়ে তার থাবার নীচে।
11 সে মনে মনে বলে, “এদিকে ঈশ্বরের খেয়াল নেই;
তিনি মুখ ফিরিয়ে আছেন, কখনও দেখবেন না।”
12 হে সদাপ্রভু, ওঠো;
হে ঈশ্বর, তোমার হাত বাড়িয়ে দাও,
দুঃখীদের ভুলে যেয়ো না।
13 দুষ্ট লোক কেন ঈশ্বরকে তুচ্ছ বলে মনে করে?
সে কেন মনে মনে বলে,
“তিনি আমার কাছে কোন হিসাব চাইবেন না”?
14 কিন্তু হে ঈশ্বর, দুঃখ-কষ্ট তোমার চোখ এড়িয়ে যায় না;
তুমি নিজের হাতেই এর ব্যবস্থা কর।
অসহায় তো তোমারই হাতে নিজেকে তুলে দেয়;
অনাথকে তুমিই সাহায্য করে থাক।
15 দুষ্ট এবং মন্দ লোকের ক্ষমতা তুমি শেষ করে দিয়ো;
তার সমস্ত অন্যায়ের হিসাব তুমি চেয়ে নিয়ো।
16 সদাপ্রভুই চিরকালের রাজা;
তাঁর দেশ থেকে অন্য জাতিরা ধ্বংস হয়ে যাবে।
17 হে সদাপ্রভু, নম্রদের অন্তরের ইচ্ছার কথা তুমি শুনছ;
তুমি তাদের সাহস দিচ্ছ, তাদের কান্না তুমি শুনছ।
18 তুমিই তা করছ, যাতে অনাথ ও অত্যাচারিত লোকদের পক্ষে
তুমি দাঁড়াতে পার,
যেন এ দুনিয়ার মানুষ তাদের আর ভয় দেখাতে না পারে।