ইয়োব 8

বিল্‌দদের প্রথম কথা

1 তখন শূহীয় বিল্‌দদ উত্তরে বললেন,

2 “তুমি আর কতক্ষণ এই সব কথা বলতে থাকবে?

তোমার কথাগুলো ঝোড়ো বাতাসের মত।

3 ঈশ্বর কি ন্যায়ের বিরুদ্ধে কাজ করেন?

সর্বশক্তিমান কি ঠিক্‌কে বেঠিক করেন?

4 তোমার ছেলেমেয়েরা নিশ্চয়ই তাঁর বিরুদ্ধে পাপ করেছে,

সেইজন্য তিনি পাপের শাস্তির হাতে তাদের তুলে দিয়েছেন।

5 কিন্তু তুমি যদি আগ্রহী হয়ে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা কর

আর সর্বশক্তিমানের কাছে অনুরোধ জানাও,

6 যদি তুমি খাঁটি ও সৎ হয়ে থাক,

তবে এখনও তিনি তোমার পক্ষে কাজ করতে আগ্রহী হবেন

আর তোমার সততাপূর্ণ জায়গায় আবার তোমাকে বসাবেন।

7 তোমার ভবিষ্যৎ হবে এত সফলতায় পূর্ণ যে,

মনে হবে তোমার প্রথম অবস্থা এর চেয়ে অনেক খারাপ ছিল।

8 “আগেকার দিনের লোকদের জিজ্ঞাসা কর;

তাঁদের পূর্বপুরুষেরা যা শিখেছিলেন তার খোঁজ নাও।

9 আমরা তো গতকাল জন্মেছি, কিছুই জানি না;

পৃথিবীর উপর আমাদের দিনগুলো ছায়ার মত চলে যায়।

10 তাঁদের কাছ থেকে তুমি শিক্ষা ও উপদেশ পাবে;

তাঁরা যা জানেন তা তোমাকে বলবেন।

11 “জলা জায়গা না হলে নল বড় হতে পারে না;

জল না পেলে খাগ্‌ড়া বেড়ে উঠতে পারে না।

12 বেড়ে উঠবার সময় যখন সেগুলো কাটা হয় না,

তখন জল না পেলে তা ঘাসের চেয়েও তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়।

13 যারা ঈশ্বরকে ভুলে যায় তাদের দশা তা-ই হয়;

ঈশ্বরের প্রতি ভক্তিহীনদের আশা ঐভাবে ধ্বংস হয়।

14 যার উপর সে নির্ভর করে তা শক্ত নয়,

তা মাকড়সার জাল মাত্র।

15 সে যদি তার উপর ভর দেয় তবে তা ভেংগে পড়বে,

যদি সে তা আঁকড়ে ধরে তবে তা তাকে ধরে রাখতে পারবে না।

16 সে যেন সূর্যের আলোতে সতেজ একটা চারা,

বাগানের সব জায়গায় তার ডালপালা ছড়িয়ে গেছে।

17 জড়ো হওয়া পাথরের চারপাশে তার শিকড়গুলো জড়িয়ে গেছে;

পাথরের মধ্যে সে একটা নিরাপদ জায়গা খুঁজে পেয়েছে।

18 কিন্তু তার জায়গা থেকে যখন তাকে তুলে ফেলা হবে

তখন সেই জায়গা তাকে অস্বীকার করে বলবে,

‘আমি তোমাকে কখনও দেখি নি।’

19 দেখ, এছাড়া তার আর কোন আনন্দ নেই;

সেই মাটিতে অন্যান্য চারা গজাবে।

20 “নির্দোষ মানুষকে ঈশ্বর কখনও ত্যাগ করেন না

কিম্বা যারা মন্দ কাজ করে তাদের হাত শক্তিশালী করেন না।

21 এখনও তোমার মুখ তিনি হাসিতে ভরে দেবেন

আর তোমাকে আনন্দে পূর্ণ করবেন।

22 যারা তোমাকে ঘৃণা করে তারা লজ্জিত হবে;

দুষ্টদের বাসস্থান আর থাকবে না।”