1 “এতে আমি ভয়ে কাঁপছি
আর আমার অন্তর ধুক্ ধুক্ করছে।
2 শুনুন, শুনুন তাঁর গর্জনের শব্দ;
তাঁর মুখ থেকে যে আওয়াজ বের হচ্ছে তা শুনুন।
3 গোটা আকাশের নীচে আর পৃথিবীর শেষ সীমানায়
তাঁর বিদ্যুৎকে তিনি পাঠিয়ে দেন।
4 তারপর তাঁর গর্জনের শব্দ আসে;
তাঁর মহান স্বরে তিনি গর্জন করেন।
যখন তাঁর স্বর শোনা যায়
তখন বিদ্যুৎকে তিনি থামিয়ে রাখেন না।
5 ঈশ্বর আশ্চর্যভাবে গর্জন করেন;
তিনি এমন মহৎ মহৎ কাজ করেন যা আমরা বুঝতে পারি না।
6 তিনি তুষারকে বলেন, ‘পৃথিবীতে পড়,’
আর বৃষ্টিকে বলেন, ‘মুষলধারে পড়।’
7 প্রত্যেক মানুষকে তাঁর কাজ থেকে তিনি থামিয়ে দেন,
যেন সব মানুষ তাঁর কাজের বিষয় জানতে পারে।
8 তখন পশুরা আশ্রয় নেয়;
তারা তাদের গর্তে ঢোকে।
9 ঝড় তার ঘর থেকে বের হয়ে আসে,
বাতাস ঠাণ্ডা বয়ে আনে।
10 ঈশ্বরের নিঃশ্বাস থেকে বরফ জন্মায়
আর জল জমে যায়।
11 তিনি ঘন মেঘে জল ভরেন;
তাঁর বিদ্যুৎকে তিনি মেঘের মধ্য দিয়ে ছড়িয়ে দেন।
12 তাঁর নির্দেশে মেঘগুলো ঘুরে বেড়ায়,
তাঁর আদেশ পালনের জন্য তারা গোটা দুনিয়ায় ঘুরে বেড়ায়।
13 মানুষকে শাস্তি দেবার জন্য,
কিম্বা তাঁর পৃথিবীকে জল দেবার জন্য,
কিম্বা তাঁর ভালবাসা দেখাবার জন্য
তিনি বৃষ্টি আনেন।
14 “ইয়োব, আপনি এই কথা শুনুন;
স্থির হয়ে ঈশ্বরের আশ্চর্য কাজের কথা ভাবুন।
15 আপনি কি জানেন কেমন করে ঈশ্বর মেঘকে দমনে রাখেন
আর তাঁর বিদ্যুৎকে চম্কাতে দেন?
16 আপনি কি জানেন কেমন করে মেঘ ঝুলে থাকে?
যিনি জ্ঞানে পরিপূর্ণ তাঁর আশ্চর্য কাজ কি আপনি জানেন?
17 দখিনা বাতাসে যখন দেশ নীরব হয়ে যায়
তখন আপনি তো আপনার কাপড়-চোপড়ে গরম বোধ করেন।
18 ছাঁচে ঢালা আয়নার মত শক্ত যে আকাশ
তা কি আপনি ঈশ্বরের সংগে বিছিয়েছেন?
19 “তাঁকে কি বলা উচিৎ তা আপনি আমাদের বলুন;
আমরা জ্ঞানহীন বলে তাঁকে আমাদের কথা জানাতে পারি না।
20 তাঁকে কি বলতে হবে যে, আমি কথা বলতে চাই?
কোন মানুষ কি চাইবে যে, তাকে গিলে ফেলা হোক?
21 বাতাসে আকাশ পরিষ্কার হয়ে যখন সূর্য উজ্জ্বল হয়
তখন তার দিকে কেউ তাকাতে পারে না।
22 উত্তর দিক থেকে সোনালী উজ্জ্বলতা আসে;
তাঁর চারদিকে ভয় জাগানো মহিমা দেখা যায়।
23 সর্বশক্তিমান আমাদের নাগালের বাইরে
এবং ক্ষমতায় অনেক মহান;
তাঁর ন্যায়বিচার ও সততার দরুন তিনি অত্যাচার করেন না।
24 এইজন্যই মানুষ তাঁকে ভক্তিপূর্ণ ভয় করে;
যারা নিজেদের জ্ঞানী মনে করে
তাদের দিকে তিনি কোন নজর দেন না।”