ইয়োব 27

1 ইয়োব তাঁর কথা বলতেই থাকলেন। তিনি বললেন,

2 “যিনি আমার বিচার করতে অস্বীকার করছেন

সেই জীবন্ত ঈশ্বরের দিব্য,

যিনি আমার প্রাণকে তেতো করে তুলেছেন

সেই সর্বশক্তিমানের দিব্য যে,

3 যতদিন আমার মধ্যে জীবন আছে,

যতদিন ঈশ্বরের নিঃশ্বাস আমার নাকের মধ্যে আছে,

4 ততদিন আমার মুখ অন্যায় কথা বলবে না,

আমার জিভ্‌ ছলনার কথা বলবে না।

5 তোমাদের কথা যে ঠিক তা কখনও আমি মেনে নেব না;

আমার মরণ দিন পর্যন্ত আমি বলব যে, আমি সত্যি কথা বলেছি।

6 আমি যে নির্দোষ সেই দাবি আমি ছাড়ব না, বলতেই থাকব।

আমি যতদিন বাঁচব ততদিন আমার বিবেক

আমাকে দোষী করবে না।

7 “আমার শত্র€রা দুষ্টদের মত হোক;

আমার বিপক্ষেরা অন্যায়কারীর মত হোক।

8 ঈশ্বর যখন তাঁর প্রতি ভক্তিহীনদের শেষ করে দেন,

তখন তাদের আর কোন আশাই থাকে না।

9 তাদের উপর কষ্ট আসলে কি ঈশ্বর তাদের কান্না শোনেন?

10 তারা কি সর্বশক্তিমানকে নিয়ে আনন্দ পায়?

তারা কি সব সময় ঈশ্বরকে ডাকে?

11 ঈশ্বরের ক্ষমতার বিষয় আমি তোমাদের শিক্ষা দেব;

সর্বশক্তিমানের বিষয় আমি গোপন করে রাখব না।

12 তোমরা তো সবাই এই সব দেখেছ,

তাহলে এই অসার কথাবার্তা বলছ কেন?

13 “ঈশ্বর দুষ্টদের ভাগ্যে যা রেখেছেন,

সর্বশক্তিমানের কাছ থেকে নিষ্ঠুর লোকেরা যে অধিকার পায় তা এই:

14 তাদের ছেলেমেয়ে অনেক হলেও তাদের জন্য ঠিক হয়ে আছে ভয়ংকর মৃত্যু;

তাদের সন্তানেরা কখনও যথেষ্ট খাবার পাবে না।

15 তাদের পরে যারা বেঁচে থাকবে তাদের মৃত্যু হবে মড়কে;

তাদের বিধবারা তাদের জন্য কাঁদবে না।

16 ধুলার মত তারা রূপা জমা করলেও

আর কাদার ঢিবির মত কাপড়-চোপড় জমা করলেও

17 তাদের সেই কাপড়-চোপড় সৎ লোকেরা পরবে,

আর নির্দোষ লোকেরা সেই রূপা ভাগ করে নেবে।

18 তাদের তৈরী ঘর যেন পোকার বাসা,

তা যেন পাহারাদারদের মাচা-ঘর।

19 তারা শেষ বারের মতই ধনী অবস্থায় ঘুমাতে যায়,

কিন্তু চোখ খুললে পর তারা দেখে সবই শেষ হয়ে গেছে।

20 বন্যার মতই ভয় তাদের ধরে ফেলবে,

রাতে ঝড় তাদের উড়িয়ে নিয়ে যাবে।

21 পূবের বাতাস তাদের তুলে নিয়ে যাবে, তারা চলে যাবে;

তাদের জায়গা থেকে সেই বাতাস তাদের উড়িয়ে নিয়ে যাবে।

22 সেই জোর বাতাস থেকে যখন তারা তাড়াতাড়ি পালাতে চাইবে

তখন নিষ্ঠুরভাবে তা তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে।

23 সেই বাতাস যেন বিদ্রূপ ে হাততালি দেয়

আর তাদের জায়গা থেকে হিস্‌হিস্‌ শব্দ করে তাদের বের করে দেয়।